ছাত্রীদের শিক্ষার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে লালমাটিয়া মহিলা কলেজে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার বিষয়ে আপোষহীন একটি প্রতিষ্ঠান।
নিরাপত্তা
১. শ্রেণিকক্ষসহ সমগ্র শিক্ষা ক্যাম্পাসটি আই.পি. ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটর করা হয়।
২. সুরম্য প্রাচীরঘেরা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক আর্চওয়ে গেট।
৩. বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতিতে ডিজিটাল হাজিরার মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।
৪. আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের সাথেই পৃথক আবাসিক জোন রয়েছে, যেখানে চারটি বহুতল ভবনে এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রীনিবাসে সার্বিক নিরাপত্তা ও নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন হোস্টেল সুপার, একজন ডাক্তার, একাধিক সহকারী হোস্টেল সুপার, একাধিক মেট্রন, বাবুর্চি, আয়া, দারোয়ান, মালি ও পরিছন্নতাকর্মীসহ একটি পূর্ণাঙ্গ জনবল কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ছাত্রীনিবাসের সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য কলেজের উপাধ্যক্ষের নেতৃত্বে শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি পরিচালনা কমিটিও রয়েছে।
৫. সম্পূর্ণ আবাসিক জোন এবং এর পার্শ্ববর্তী সড়ক আই.পি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় রয়েছে। কোনো বহিরাগত এ জোনে প্রবেশ করতে পারে না । কেবল কার্ডধারী অভিভাবকরাই নির্ধারিত সময়ে অতিথি কক্ষে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। আবাসিক শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কার্ড ব্যবহার করে নির্ধারিত দিনে কেবল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছাত্রীনিবাসের বাইরে যেতে পারে।
৬. ৫-১০ জন শিক্ষক সমন্বয়ে নিরাপত্তা কামিটি রয়েছে। কমিটি নির্দিষ্ট সময় পর পর আলোচনার মাধ্যমে সময় উপযোগী সিদ্ধান্তগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে।
শৃঙ্খলা
১. কলেজে প্রবেশের সময় সকল শিক্ষার্থীদের অবশ্যই গেটে আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
২. উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে এবং ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের অ্যাপ্রন পরিধান করে নির্ধারিত সময়ে কলেজে প্রবেশ করতে হবে।
৩. ক্লাসের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। কলেজ চলাকালে একজন শিক্ষার্থী কোনোভাবেই বাসায় বা বাইরে যেতে পারবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সংশিষ্ট গাইড শিক্ষকের কিংবা বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষার্থীকে বাসায় বা বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারবেন।
৪. শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি, পরীক্ষার ফলাফল ও ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আচরণ মনিটরিং করার জন্য প্রতি ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন গাইড শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
৫. প্রতিদিন (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত যাবতীয় টাকা কলেজের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়।
৬. কলেজের সকল পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রহণ করা হয়।
৭. কলেজের অভ্যন্তরে কোনো ছাত্রীর কাছে স্মার্টফোন রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন থাকলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সাধারণ ফোন সঙ্গে রাখা যাবে। তবে শ্রেণিকক্ষে সেটি অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।
৮. প্রতিটি ছাত্রীর শতভাগ উপস্থিতি আমাদের কাম্য। কোনো ছাত্রীর ক্লাস উপস্থিতি ৭৫%-এর কম থাকলে সেক্ষেত্রে সেই ছাত্রী পরবর্তী বর্ষে উন্নীত হতে পারে না। কেবল অসুস্থতা অথবা যৌক্তিক কোনো কারণ থাকলে সেটি বিবেচনা করা হয়। (উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উক্ত বিধি কার্যত পালিত হয়ে আসছে)।
৯. উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির যে সকল ছাত্রী প্রথম ও শেষ ক্লাসে উপস্থিত থাকে না তাদের ঐ দিনের ক্লাসের অনুপস্থিত ধরে প্রতি ক্লাসে ২০/- টাকা হারে জরিমানা ধরা হয়, যা মাস শেষে বেতন বইয়ের মাধ্যমে আদায়যোগ্য।
১০. প্রত্যেক ছাত্রীকে মাসিক বেতন চলতি মাসের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে। চলতি মাসের মধ্যে বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ১ম মাসের বিলম্বের জন্য ২৫ টাকা এবং ২য় মাসের বিলম্বের জন্য ৫০ টাকা হারে বিলম্ব ফি দিতে হবে এবং ৩ (তিন) মাস বিলম্ব হলে পুনঃ ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি (পাস) ১,৪০০/- টাকা এবং অনার্স-মাস্টার্স ২,০০০/- টাকা হিসেবে প্রদান করতে হবে।